২০০০ সালে ১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টিনা থেকে বার্সেলোনায় এসেছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর স্পেনের কাতালানে কাটিয়েছেন টানা ২১টি বছর। স্পেনের সেই শহরেই গড়ে তুলেছেন ঘর-বাড়ি ও গাড়ি। কিন্তু চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় এখন হুট করে বদলাতে হয়েছে প্রিয় সেই শহরকে। প্রিয় বার্সেলোনা ছেড়ে মেসি এখন প্রণয়ের প্যারিসে। যোগ দিয়েছেন ফ্রান্সের জায়ান্ট দল পিএসজিতে।
প্যারিসে কিছুই নেই মেসির। তাই নতুন বাড়ি খুঁজে দেওয়ার আগ পযর্ন্ত প্যারিসের লে রয়্যাল মনচিআও হোটেলেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকছেন মেসি। ২০১৭ সালে পিএসজিতে পাড়ি জমানোর পর এই হোটেলেই উঠেছিলেন নেইমারও। প্যারিসের এই হোটেলটি বেশ বিখ্যাত। সব রকমের সুব্যবস্থা আছে সেখানে।২৩ মিটার লম্বা সুইমিং পুল, সিনেমা দেখার ব্যক্তিগত জায়গা ছাড়াও ছয়টি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট রয়েছে এ হোটেলে। অবশ্য হোটেলের ভাড়াও অনেক।
দৈনিক এই হোটেলের ভাড়া দিতে মেসিকে গুণতে হচ্ছে ১৭ হাজার পাউন্ড করে। বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ২০ লাখ টাকা! যতই সুবিধা থাকুক স্ত্রী-সন্তানসহ মেসির এই হোটেলে থাকা পছন্দ নয় তার এক সময়ের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সার্জিও রামোসের। হোটেল ছেড়ে মেসিকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
রামোস বলেছেন, ‘তুমি যদি হোটেলে না থেকে কোনো বাসায় থাকতে চাও, চাইলে আমার বাসায় থাকতে পারো।’ স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইসের সাংবাদিক হুয়ান ইরিগোয়েন জানিয়েছেন, আগের শত্রুতা আর নেই মেসি-রামোসের মধ্যে। দুজনের প্রতিপক্ষ এখন এক। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবেন তারা। রামোসের এই সৌজন্যবোধে সেটিই ফুটে উঠল।
তথ্যসূত্র: মার্কা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।